আপনার আমার সামনে দিয়ে সাঁ সাঁ ছুটছে গাড়ি। তা থেকে কোন কার্বন ডাই অঙাইড বা পরিবেশ ড়্গতিকারক কোন পদার্থ নির্গত হচ্ছে না। এমনটি হলে কতই না মজা হতো। আমাদের এ স্বপ্নকে বাসত্মবে রূপ দিতে চান বৃটিশ বিজ্ঞানীরা। তারা এমন এক ধরনের জ্বালানি আবিষ্কার করেছেন যা গাড়িতে ব্যবহার করলে কোন কার্বন জাতীয় পদার্থ উৎপাদন করবে না। উৎপাদন হবে না কোন গ্রিণহাউজ গ্যাসও। আর দামও হবে একেবারে সসত্মা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই জ্বালানির প্রতি গ্যালনের দাম হবে মাত্র ৯০ পেন্স। জ্বালানি সংকটে বিশ্ব যখন উদ্বিগ্ন তখন এই খবরে আশাবাদী হয়ে উঠতে পারি আমরা। এই জ্বালানি হবে কৃত্রিম। উৎপাদন করা হবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে। বৃটিশ বিজ্ঞানীরা উৎপাদন করেছেন এমন কৃত্রিম পেট্রোল! তা হবে পরিবেশ বান্ধব, সাশ্রয়ী, সমান কার্যকর। এ পেট্রোল বাজারে আসতে সময় লাগবে আরও ৩-৫ বছর। দাম পড়বে লিটারপ্রতি ১৯ পেনি, গ্যালনের মূল্য পড়বে দেড় ডলার। তাক লাগানো এ আবিস্কারের খবর দিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল। মেলা এনার্জি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প হাতে নেয়। গবেষণা করেন প্রফেসর স্টিফেন বেনিংটনের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী। মেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ভলার জানান, কৃত্রিম ও পেট্রোলের মূলে থাকছে হাইড্রোজেন। কার্বন নয়। ফলে এ পেট্রোল পরিবেশ দূষণ ঘটাবে না। আগামী বছর রাসত্মায় এর কার্যকারিতা পরীড়্গা করা হবে। প্রফেসর বেনিংটন বলেন, হাইড্রোজেন ভালো জ্বালানি। সাধারণ পেট্রোলের চেয়ে তা ৩ গুণ বেশি কার্যকর। এটি যখন পুড়ে তখন শুধু পানিই নিঃসরণ করে। এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন অঙফোর্ডের কাছের রাদারফোর্ড অ্যাপলটন ল্যাবরেটরি, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং অঙফোর্ড ইউনিভার্সিটি। সেখানকার বিজ্ঞানীরা হাইড্রোজেনের ুদ্র গুটিকা ঘনীভূত করেছেন, যা তরল পদার্থের মতো কোন পাত্রে ঢালা যাবে বা পাম্প করা যাবে। তবে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন এডমুন্ড কিং। তিনি বলেছেন, যেহেতু এই জ্বালানি হাইড্রোজেন থেকে তৈরি করা হচ্ছে তাই এর দাম আপাতত সসত্মা হলেও পরে দাম বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। প্রকৃতিতে যে পরিমাণ হাইড্রোজেন আছে তাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রড়্গা হচ্ছে। যদি ওই হাইড্রোজেন প্রকৃতি থেকে নেয়া হয়- সেই ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। এমনটা হলে সরকারগুলো তা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠতে পারে।